টালিউডের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। ওপার বাংলার চলচ্চিত্র জগতে তার নাম বেশ পরিচিত। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে আলোচনায় আসেন, বিশেষ করে তার ব্যক্তিগত জীবন ও পরিবারের কথা নিয়ে। সম্প্রতি, তিনি তার ছেলে অভিমন্যুর সাথে তার সম্পর্ক এবং তার ভবিষ্যৎ শাশুড়ি হিসেবে ভূমিকা নিয়ে কথা বলেছেন। তার এই বক্তব্য শ্রাবন্তীর ভক্তদের মধ্যে নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে।
শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত স্নেহময় এবং বন্ধুসুলভ মা হিসেবে পরিচিত। তিনি তার ছেলের সাথে বন্ধুর মতো সম্পর্ক বজায় রাখেন। তিনি ছেলের জীবনের সব দিক নিয়ে খোঁজখবর নেন এবং তার প্রেমিকার খবরও সরাসরি ছেলের কাছ থেকে জানেন। শ্রাবন্তী বলেন, "অভিমন্যুর সব বন্ধুদের আমি চিনি। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বেড়াতে যাই, রেস্তোরাঁয় খেতে যাই। আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো।"
তিনি আরও বলেন, "আমি মনে করি যে আমি একদিন একজন ভালো শাশুড়ি হতে পারবো। আমি চেষ্টা করবো যাতে আমার পুত্রবধূ আমাকে একজন বন্ধু হিসেবে দেখতে পারে। আমি চাইবো সে যেন মনে করে আমি তার প্রিয় একজন ব্যক্তি।"
এই কথাগুলো বলার সময় শ্রাবন্তী স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, তিনি তার পুত্রবধূকে স্বাধীনতা দিতে চান এবং তার প্রতি সবসময় স্নেহময় মনোভাব প্রদর্শন করতে চান। তিনি বলেন, "আমি চাই না আমার পুত্রবধূ কোনো সময়ে আমার থেকে বিচ্ছিন্ন বা দূরে মনে করে। আমি চাই আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকুক।"
শ্রাবন্তী চ্যাটার্জির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা না করলে চলবে না। তিনি অল্প বয়সে পরিচালক রাজীব বিশ্বাসকে বিয়ে করেছিলেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি মা হয়েছিলেন। তার ব্যক্তিগত জীবন নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে গেছে। তবে, ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি একজন সফল নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সবসময়ই একটি সুখী ও সুসংগঠিত সংসার চান। তিনি বলেন, "আমি সবসময় স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখে থাকতে চাই। একটি সাজানো সংসার আমার স্বপ্ন।"
শ্রাবন্তীর এই খোলামেলা বক্তব্য এবং পুত্রবধূর প্রতি তার ইতিবাচক মনোভাব শ্রাবন্তীর ভক্তদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। অনেকে তার এই বক্তব্যকে প্রশংসা করেছেন এবং তাকে একজন উদাহরণস্বরূপ মা হিসেবে দেখছেন। শ্রাবন্তীর মতে, শাশুড়ি হওয়া মানে শুধু বাড়ির বড়জন হওয়া নয়, বরং একজন সহানুভূতিশীল ও ভালো বন্ধু হওয়া।
শ্রাবন্তীর এই বক্তব্য অনেককে তার শাশুড়ি হওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছে। তিনি বিশ্বাস করেন যে, পুত্রবধূকে একজন স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবে সম্মান জানানো উচিত এবং তার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। শ্রাবন্তী বলেন, "আমি চাই আমার পুত্রবধূ যেন নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারে এবং সে যেন মনে করে যে তার মতামতকে আমি গুরুত্ব দিই। আমি চাই না সে কখনো মনে করে যে সে আমার কাছে অবাঞ্ছিত।"
এই ধরনের মনোভাব আমাদের সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রদান করে যে, পরিবারে সব সদস্যের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা প্রদর্শন করা উচিত। শ্রাবন্তীর এই বক্তব্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, একজন শাশুড়ি এবং পুত্রবধূর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব এবং তা অনেক বেশি অর্থবহ হতে পারে।